বাড়িতেই তৈরি করুন ভিন্নধর্মী তন্দুরি চা

২০ মিনিট

অতি সহজ

৪ জন

চা প্রেমীদের যেমন চা খাওয়ার জন্য কোনো নির্দিষ্ট সময়ের দরকার পড়ে না, ঠিক তেমনই প্রয়োজন পড়ে না কোনো উপলক্ষের। সকাল, সন্ধ্যা তো বটেই; রাতে জেগে থাকলেও চা খেতে ইচ্ছে করে এমন অনেকেই আছেন। আবার চা প্রেমী অনেক মানুষ দুপুরের খাবারের পরও চুমুক দেন গরম গরম ধোঁয়া ওঠা চায়ের কাপে। চা পানের কোনো নির্দিষ্ট সময় না থাকলেও চায়ের ফ্লেভারে ভিন্নতা আনতে পছন্দ করেন অনেকেই। মাথা ব্যথা হলে আদা চা, গলা খুশখুশ করলে মশলা চা, ডায়েট করতে গ্রীন টি এখন অনেক জনপ্রিয়। শৌখিন চা-খোর মানুষেরা আবার দুধ চা ছাড়া কিছু খেতেই চান না! চায়ের বাজারে নতুন ট্রেন্ড হিসেবে যুক্ত হয়েছে তন্দুরি চা – যাতে থাকে স্মোকি ফ্লেভার।

চা-প্রেমীদের কাছে দারুণ জনপ্রিয় এই তন্দুরি চা বিভিন্ন ছোট বড় টি স্টলে হরহামেশাই বিক্রি হচ্ছে। একটু ভিন্নধর্মী প্রক্রিয়া এবং ভিন্ন স্বাদের কারণে রাতারাতি এই চা পৌঁছে গেছে মানুষের পছন্দের তালিকায়।

যদিও তন্দুরি চা বানানোর জন্য তন্দুর প্রয়োজন হয়, তবুও বাড়িতেই গ্যাসের চুলায় ভিন্ন কৌশলে খুব সহজেই তৈরি করা যায় দারুণ স্বাদের এই তন্দুরি চা। তবে চলুন জেনে নেই খুব সহজেই কীভাবে বাড়িতে বসেই তন্দুরি চা তৈরি করবেন।

কোন পর্যালোচনা নাই

প্রয়োজনীয় উপকরণঃ

Adjust Servings
কাপ পানি
কাপ দুধ
চা চামচ চা পাতা
চা চামচ আদা কুঁচি
২/৩ টুকরা দারুচিনি
চিমটি কেশর
১/৪ চা চামচ এলাচ গুঁড়া
চা চামচ চিনি
টি মাটির ভাঁড়

পুষ্টিগুণ

৫০ গ্রাম ফ্যাট
১০০ গ্রাম প্রোটিন
০ গ্রাম শ্যুগার
৩০০ গ্রাম শর্করা
১০ গ্রাম ট্রান্স ফ্যাট
৪৩৬ গ্রাম ক্যালোরি

প্রস্তুত প্রণালী

1.

লিকার তৈরি করে নিন

তন্দুরি চা তৈরিতে প্রথমে গ্যাসের চুলায় এক কাপ পরিমাণ পানি জ্বাল দিন। এরপর এতে যোগ করুন পরিমাণমতো চিনি, আদা কুঁচি, এলাচ গুঁড়া ও দারুচিনি। মসলাগুলো খুব ভালোভাবে জ্বাল দিলে কিছুক্ষণ পর পানির রঙ লালচে হয়ে আসবে। এমন সময় চা পাতা দিয়ে লিকার তৈরি করে নিন। লিকারের জন্য দুই থেকে তিন মিনিট জ্বাল দিন। কড়া লিকার হয়ে গেলে এই মিশ্রণে যোগ করুন দুই কাপ পরিমাণ দুধ। এবার ভালোভাবে ফুটিয়ে নিন। সবশেষে যোগ করুন এক চিমটি কেশর। এবার চা ছেঁকে আলাদা করে রাখুন যাতে চা গরম থাকে।
শেষ হলে মার্ক করে রাখুন
2.

তন্দুরি ফ্লেভার যোগ করে নিন

এবার পালা তন্দুরি ফ্লেভার যোগ করার। এজন্য একটি মাটির ভাঁড় নিন। এই মাটির ভাঁড়কে গ্যাসের হাল্কা আগুনে খুব ভালোভাবে সেঁকে নিন। এর জন্য একটি চিমটে দিয়ে ভাঁড়টি বার্নারের ওপর বসান। এবার চিমটের সাহায্যে ভাঁড়টি ধীরে ধীরে ঘোরাতে থাকুন। ভাঁড়ের ভেতরের দিকটিও যাতে সমানভাবে সেঁকা হয় সেইদিকেও খেয়াল রাখতে হবে। কিছুক্ষণ সেঁকার পর দেখবেন আগুনের তাপে মাটির ভাঁড়টি ধীরে ধীরে তার রঙ পরিবর্তন করতে শুরু করে দিয়েছে। রঙ পরিবর্তন করতে শুরু করলে মাটির ভাঁড়টি একটি সাঁড়াশির সাহায্যে নামিয়ে নিন। এরপর আর অপেক্ষা না করে মাটির ভাঁড়টি একটি প্যানের ওপর বসান। ওই তপ্ত ভাঁড়ের মধ্যে গরম গরম চা ঢালতে থাকুন। যদি মনে করেন চা তেমন গরম নেই তাহলে অন্য একটি পাত্রে চা আরেকবার ফুটন্ত গরম করে নিন।
শেষ হলে মার্ক করে রাখুন
3.

সাবধানে চা ঢেলে নিন

চা ঢালার সময় ভাঁড় উপচে পড়লেও ঢালতে থাকুন। এসময় দেখবেন ভাঁড়ের মধ্যে আগ্নেয়গিরির মতো বুদবুদ দেখা যাচ্ছে। ভাঁড় তপ্ত হওয়ার কারণেই এই বুদবুদ দেখা যাবে; আর এই বুদবুদই তন্দুরি চায়ের মূল আকর্ষণ। উত্তপ্ত ভাঁড়ে গরম চা ঢালার কারণে একটি স্মোকি ফ্লেভার তৈরি হবে। এভাবেই তৈরি হয়ে যাবে দারুণ স্বাদের তন্দুরি চা। চা তো রেডি! ভিন্নধর্মী এই চা পরিবেশন করুন ভিন্ন কায়দায়। মাটির কাপে বা নকশা করা মাটির ভাঁড়ে পরিবেশন করতে পারেন দারুণ মজার তন্দুরি চা।
শেষ হলে মার্ক করে রাখুন

মন্তব্য

বিশেষ দ্রষ্টব্যঃ *উপরে উল্লিখিত পুষ্টিগুণগুলো খাবারের উপাদানসমূহের উপর ভিত্তি করে করা একটি মোটামুটি অনুমান। মনে রাখবেন যে মানগুলো ক্ষেত্র থেকে ক্ষেত্রে পরিবর্তিত হতে পারে। *আপনি রেসিপির কাজগুলো সম্পন্ন করতে পারেন এমন অনেক উপায় রয়েছে। আপনি যদি বিশ্বাস করেন যে কিছু নির্দেশনাকে আরও উন্নত করা যেতে পারে, বা এর একটি ভালো বিকল্প সমাধান রয়েছে, তাহলে নির্দ্বিধায় মন্তব্য করুন।
ট্যাগ