কলমি শাক ভাজা
সুস্থ থাকতে চাই পুষ্টি সমৃদ্ধ খাবার। আর পুষ্টি সমৃদ্ধ খাবারের অন্যতম উৎস শাক।
লাল শাক, কচু শাক, পালংশাক, কলমি শাক এমন আমাদের দেশে সবচেয়ে বেশি পরিমাণে খাওয়া হয়। পুষ্টিগুণে কলমি শাক অতুলনীয়। এতে রয়েছে ক্যালসিয়াম, পটাসিয়াম, সোডিয়াম, আয়রনসহ প্রচুর ভিটামিন। এছাড়াও ফাইবারে পরিপূর্ণ কলমি শাক হজমেও দারুণ সহায়ক।
চলুন দেখে নেই কিভাবে তৈরি করবেন দারুণ মজার কলমি শাক ভাজা; একই ভাবে পালং শাক, পুঁইশাকও ভাজতে পারবেন।
কোন পর্যালোচনা নাই
প্রয়োজনীয় উপকরণঃ
Adjust Servings
২ আটি কলমি শাক | |
২ টেবিল চামচ পেঁয়াজ কুঁচি | |
১ টেবিল চামচ রসুন কুঁচি | |
৩ টি শুকনা মরিচ | |
২ টেবিল চামচ পুষ্টি সয়াবিন তেল | |
স্বাদমত লবণ | |
১/২ কাপ পানি |
প্রস্তুত প্রণালী
1.
শাক বাছা, কাটা ও সিদ্ধ
শাক বাজার থেকে কিনে আনার পর নিচের শিকড়, মাটির অংশ ও মুষড়ে পড়া শাকের অংশ ফেলে ভালোভাবে ধুয়ে নিতে হবে। ধোয়ার পর কুচি করে কেটে নিন।
একটি পাতিলে আধা কাপ পানি গরম করে তাতে শাকগুলো দিয়ে মাঝারি আঁচে সিদ্ধ করে নিন । শাক থেকেও যেহেতু পানি বের হবে তাই সময় নিয়ে নেড়ে চেড়ে সবটুকু পানি শুকানো পর্যন্ত চুলায় জ্বাল দিতে হবে।
শেষ হলে মার্ক করে রাখুন
2.
শাক ভাজা
পানি সম্পূর্ণ শুকিয়ে যাওয়ার পর শাক নামিয়ে রাখুন। অন্য একটি কড়াই চুলায় বসিয়ে তাতে তেল দিয়ে মাঝারি আঁচে গরম করুন। তেল গরম হয়ে এলে রসুন ও পেঁয়াজ কুচি দিয়ে হালকা বাদামি করে ভেজে তাতে শুকনা মরিচ ভেঙে দিয়ে দিন।
১ মিনিট ভাজা হলে তাতে সেদ্ধ করে রাখা শাক ও লবণ দিয়ে খুব ভালোভাবে ভাজা পেঁয়াজ রসুনের সাথে মিশিয়ে ৪-৫ মিনিট চুলার আঁচ বাড়িয়ে ভাজুন। তারপর নামিয়ে পরিবেশন করুন গরম ঘি দেওয়া ভাতের সঙ্গে।
শেষ হলে মার্ক করে রাখুন