আমের টক মিষ্টি আচার
এখন এই আমের ভরা মৌসুমে আমের আচারের চেয়ে সেরা আর কিছুই হতে পারে না। কাঁচা আমের আচার বয়ামে ভরে সারা বছর সংরক্ষণ করা যায়। আম সারা বছর না খেতে পারলেও আমের আচার বানিয়ে রাখলে আমের স্বাদ পেতে পারেন ১২ মাস।
আমের টক মিষ্টি আচার খালি খেতে যেমন ভালো লাগে তেমনি খিচুড়ি বা পোলাওয়ের সাথেও এর স্বাদ অতুলনীয়। আসুন দেখে নিই, কি করে সহজে এই আচারটি ঘরে বানাতে পারবেন।
কোন পর্যালোচনা নাই
প্রয়োজনীয় উপকরণঃ
Adjust Servings
১ কেজি কাঁচা আম | |
১.৫ টেবিল চামচ সরিষা বাটা | |
১ টেবিল চামচ পাঁচ ফোঁড়ন | |
১ কাপ সরিষার তেল | |
১ টেবিল চামচ রসুন বাটা | |
৫০ গ্রাম রসু্নের কোয়া | |
৫-৬ টি শুকনা মরিচ | |
১/৪ কাপ সাদা সিরকা | |
১ চা চামচ লাল মরিচ গুঁড়া | |
১ চা চামচ হলুদ গুঁড়া | |
১ কাপ চিনি | |
স্বাদমতো লবণ |
প্রস্তুত প্রণালী
1.
আম কাটা ও শুকানো
কাঁচা আম বাজার থেকে এনে খুব ভালো করে ধুয়ে পানি শুকিয়ে নিন। এরপর আমের বোটার অংশ কেটে ফেলে দিয়ে আম মাঝ খান থেকে দুই ভাগ করে নিন। দুই ভাগ করা টুকরাগুলো আরও ৩ ভাগ করে কেটে নিন। একটি কাটা চামচ দিয়ে আমের চামড়ার দিকটি কেচে নিন।
সবগুলো আম কাটা হয়ে গেলে একটি পাত্রে নিয়ে এতে ১ চা চামচ করে লবণ, মরিচ গুঁড়া ও হলুদ গুঁড়া দিয়ে ঝাকাতে হবে যেন সবটুকরায় মসলা সমানভাবে লেগে যায়। এবার আমগুলো ২-৩ ঘন্টা রোদে দিতে হবে।
শেষ হলে মার্ক করে রাখুন
2.
আচার তৈরি
একটি কড়াইয়ে সরিষার তেল গরম করে তাতে পাঁচ ফোঁড়ন দিয়ে ২ মিনিট ভাজুন। সরিষা বাটা, রসুন বাটা দিয়ে কম আঁচে ৫ মিনিট ভেজে নিন। এরপর এতে শুকানো আম ও রসুন কোয়াগুলো দিয়ে খুব ভালোভাবে নেড়ে মসলার সঙ্গে মিশিয়ে ৭-৮ মিনিট ভাজুন। ভাজা হলে এতে এক কাপ চিনি দিয়ে আবারও নাড়ুন, চিনি গলে যাওয়া পর্যন্ত রান্না করুন। কোনো প্রকার ঢাকনা দেওয়া যাবে না কারণ ঢাকনা ভাপে ঘেমে গিয়ে আচারে পানি পড়লে, আচার সংরক্ষণ করা যাবে না। চিনি গলে আসলে আরও ৫ মিনিট রান্না করে এতে সিরকা দিয়ে দিন। খুব ভালো করে নেড়ে চেড়ে এতে শুকনা মরিচ ভেঙে দিয়ে দিন। আচারের একটু ঝোল চেখে দেখুন লবণ ঠিক আছে কিনা, প্রয়োজন হলে আরও দিতে পারেন।
আচারের ঝোল শুকিয়ে আম সেদ্ধ হয়ে গেলে দেখা যাবে আচারের রঙ গাঢ় হয়ে এসেছে তখন চুলা থেকে নামিয়ে নিতে হবে।
শেষ হলে মার্ক করে রাখুন
3.
সংরক্ষণ
আচার সম্পূর্ণ ঠান্ডা করে কাঁচের এয়ারটাইট বয়ামে ঢেলে রাখুন। এমন ভাবে রাখতে হবে যাতে আচারের উপর তেল ভেসে থাকে। নরমাল ফ্রিজে রেখে সংরক্ষণ করতে পারবেন অথবা বাহিরে রাখতে পা্রবেন। বাহিরে সাধারণ তাপমাত্রায় রাখতে হলে প্রতি মাসে রোদে দিন। তাহলে এক বছর এই আচার ভালো থাকবে।
শেষ হলে মার্ক করে রাখুন