বিকালের নাস্তায় ঝটপট তৈরি করুন মজাদার সিঙ্গাড়া

৪০ মিনিট

মধ্যম

৪ জন

কনকনে এই শীতের বিকেলে উষ্ণতা পেতে খাদ্যরসিক বাঙালীর প্রথম পছন্দ নানা রকমের পিঠাপুলি আর তেলে ভাজা নাস্তা। যারা ঝাল খাবার খেতে পছন্দ করেন, গরম গরম ধোঁয়া ওঠা তেলে ভাজা নাস্তাগুলো তাদের কাছে এক কথায় অমৃত। আমাদের দেশে তেলে ভাজা নাস্তার মধ্যে সবথেকে জনপ্রিয় একটি খাবার হচ্ছে সিঙাড়া। শীতের বিকেলে নাস্তার টেবিলে গরম গরম চা আর ধোঁয়া ওঠা সিঙাড়ার কোনো জুড়ি নেই। খুব সহজেই বাড়িতে তৈরি করে নিতে পারবেন দারুণ স্বাদের সিঙাড়া ; যাতে থাকবে না কোনো স্বাস্থ্যঝুঁকি। সেই সাথে আপনার নিজে হাতে তৈরি করা মজাদার এই খাবার হাসি ফোটাবে আপনার প্রিয়জনের মুখে। চলুন জেনে নেয়া যাক বাড়িতে সিঙাড়া  তৈরি করার সম্পূর্ণ রেসিপিটি।

কোন পর্যালোচনা নাই

প্রয়োজনীয় উপকরণঃ

Adjust Servings
৪/৫ টি আলু (কিউব করে কাটা)
কাপ সিদ্ধ বুটের ডাল
১/৪ কাপ ভাজা চিনাবাদাম
কাপ পেঁয়াজ মিহি কুঁচি
চা চামচ আদা বাঁটা
চা চামচ রসুন বাঁটা
টেবিল চামচ কাঁচামরিচ কুঁচি
চা চামচ পাঁচফোড়ন
চা চামচ ভাজা জিরার গুঁড়া
চা চামচ গরম মশলার গুঁড়া
১/২ চা চামচ হলুদ গুঁড়া
১/২ কাপ ধনিয়াপাতা কুঁচি
টেবিল চামচ পুষ্টি ফর্টিফাইড সয়াবিন তেল
১/২ কাপ পানি
স্বাদমতো লবণ
আপনি চাইলে ইচ্ছা অনুযায়ী পুরের জন্য শীতের সবজি, যেমন - ফুলকপি, গাজর ও মটরশুঁটি সিদ্ধ করেও অল্প পরিমাণে দিতে পারেন।
কাপ পুষ্টি ফর্টিফাইড সয়াবিন তেল (সিঙাড়ার ভাজার জন্য)
সিঙাড়ার খামিরের জন্য -
কাপ পুষ্টি ময়দা
টেবিল চামচ পুষ্টি ফর্টিফাইড সয়াবিন তেল
চা চামচ কালোজিরা
চা চামচ লবণ

পুষ্টিগুণ

৫ গ্রাম ফ্যাট
১০০ গ্রাম প্রোটিন
২০ গ্রাম ক্যালোরি
৩০ গ্রাম শর্করা
১০ গ্রাম ট্রান্স ফ্যাট
০ গ্রাম শ্যুগার

প্রস্তুত প্রণালী

1.

খামির তৈরি করে নিন

প্রথমেই খামিরের জন্য একটি গামলায় ময়দা, কালোজিরা, লবণ ও তেল দিয়ে একটি ময়ান তৈরি করুন। এবার একটু একটু করে পানি মিশিয়ে একটি শক্ত খামির তৈরি করুন। মনে রাখবেন, মচমচে সিঙাড়া তৈরি করতে অবশ্যই ঠান্ডা পানি ব্যবহার করতে হবে। তবে ফ্রিজের পানি নয়, স্বাভাবিক তাপমাত্রার ঠান্ডা পানি ব্যবহার করলেই চলবে।খামির তৈরি হয়ে গেলে গরম ভেজা কাপড় দিয়ে পেচিয়ে ঘন্টাখানেক রেখে দিতে হবে।
শেষ হলে মার্ক করে রাখুন
2.

পুর তৈরি করুন

পুর তৈরির জন্য একটি কড়াইয়ে তেল গরম করে তার মধ্যে একে একে পাঁচফোড়ন, পেঁয়াজ কুঁচি, কাঁচামরিচ কুঁচি, আদা-রসুন বাটা, জিরার গুঁড়া, হলুদ গুঁড়া ও লবণ দিয়ে কষিয়ে নিন। অল্প অল্প করে পানি দিয়ে ২/৩ বার কষানোর পর আলু ও ডাবলি দিয়ে নেড়েচেড়ে নিয়ে পরিমাণমতো পানি দিয়ে ঢাকনা দিন। আলু সিদ্ধ হয়ে গেলে গরম মশলা গুঁড়া, ভাজা বাদাম ও ধনিয়াপাতা কুঁচি দিয়ে নেড়েচেড়ে নিয়ে চামচের সাহায্যে আধাভাঙ্গা করে নিন।
শেষ হলে মার্ক করে রাখুন
3.

সিঙাড়া তৈরি করে নিন

খামিরকে কাপড় থেকে বের করে আবারো একটু মেখে নিন। ১০-১২ টি সমান সাইজের লেচি কেটে নিন। এরপর লম্বা আকারে বেলে নিয়ে প্রস্থ বরাবর মাঝখান দিয়ে কেটে নিন। এভাবে ১টি লেচিতে ২টি সিঙাড়া হবে। কেটে নেয়া রুটির এক অংশ পানের খিলির মতো পেচিয়ে পুর দিয়ে দিন। এবার আঙ্গুলে পানি লাগিয়ে সিঙাড়া র খোলা মুখ চেপে চেপে বন্ধ করে দিন। এভাবে প্রতিটি সিঙাড়া তৈরি করুন। এই রেসিপি অনুযায়ী আপনার ২০-২৪ টি সিঙাড়া তৈরি হবে।
শেষ হলে মার্ক করে রাখুন
4.

সিঙাড়া ভেজে নিন

সবগুলো সিঙাড়া তৈরি করা হয়ে গেলে একটি কড়াইতে তেল গরম করুন। ভালোভাবে গরম হয়ে গেলে কড়াইয়ের উচ্চতা অনুযায়ী পরিমাণমতো সিঙাড়া ছেড়ে দিন যাতে সবগুলো সিঙাড়া ডুবো তেলে ভালোভাবে ভাজা যায়। সিঙাড়া ভাজার পুরোটা সময় জুড়ে চুলার আঁচ মাঝারি রাখুন। এতে সিঙাড়া ভাজতে একটু বেশী সময় লাগলেও তা ভালোভাবে ভাজা হবে। অন্যথায় বাইরের অংশ পুড়ে যাবে আর ভেতরে কাঁচা থেকে যাবে। সিঙাড়ার রঙ বাদামী হয়ে গেলে নামিয়ে নিন।
শেষ হলে মার্ক করে রাখুন

মন্তব্য

পরিবেশন- এবার মচমচে এই সিঙাড়া গুলো গরম গরম পরিবেশন করুন যেকোন পছন্দের সসের সাথে।
বিশেষ দ্রষ্টব্যঃ *উপরে উল্লিখিত পুষ্টিগুণগুলো খাবারের উপাদানসমূহের উপর ভিত্তি করে করা একটি মোটামুটি অনুমান। মনে রাখবেন যে মানগুলো ক্ষেত্র থেকে ক্ষেত্রে পরিবর্তিত হতে পারে। *আপনি রেসিপির কাজগুলো সম্পন্ন করতে পারেন এমন অনেক উপায় রয়েছে। আপনি যদি বিশ্বাস করেন যে কিছু নির্দেশনাকে আরও উন্নত করা যেতে পারে, বা এর একটি ভালো বিকল্প সমাধান রয়েছে, তাহলে নির্দ্বিধায় মন্তব্য করুন।